পল্লবীতে রয়েছে একাধিক বিহারি ক্যাম্প, বস্তি ও ডুইপের মতো ঘনবসতি। শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা এবং বেকারত্বের কারণে অনেকেই ঝুঁকছেন অবৈধ মাদকব্যবসায়। স্বল্প সময়ে প্রচুর অর্থসম্পদ উপার্জনের এই অবৈধ মাধ্যম আকর্ষণ করছে পরিবারের অন্য সদস্যদেরও। এভাবেই পুরো পরিবার জড়িয়ে পড়ছে মাদক বিক্রির মতো ভয়াবহ অপরাধে।
এখানে মাসে অন্তত ১০ কোটি টাকার মাদকবাণিজ্য চলে।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট মহলের গুটিকয়েক সদস্যকে ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা পরিচালিত হয়। গত ৫ আগস্টের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার পর এই চক্র আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করা হলেও তারা দ্রুত জামিনে এসে পুনরায় একই ব্যবসায় জড়ায়।
পরিবারের একজন জেলে থাকলে অন্য সদস্যরা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে। জানা যায়, খোদ পল্লবী থানার আশপাশে থাকা বস্তি ও ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে অন্তত দুই হালি মাদক স্পট। যার অধিকাংশ থানা ভবনের জানালা থেকেই দেখা যায়।
তার পাশেই বালুর মাঠ বস্তিতে চলছে শারমিনের হেরোইনের স্পট, একই বস্তিতে মাদকসম্রাজ্ঞী পৃথিবীর হেরোইন স্পট। পৃথিবীর বড় হেরোইন স্পট মিল্লাত ক্যাম্পে। এ ছাড়াও বাউনিয়াবাঁধ বস্তিতে ইয়াবাসম্রাজ্ঞী ফতের (ফাতেমা) স্পট। কালসি ২২ তলা গার্মেন্টের আশপাশে বেশ কয়েকটি স্পটের মধ্যে রয়েছে শাহনাজের হিরোইন স্পট। সাংবাদিক প্লটের উল্টোপাশে কাল্লুর গাঁজার স্পট।
মূলত মিল্লাত ক্যাম্প, বাউনিয়াবাঁধ বস্তি, ভাসানটেক বস্তি, বালুর মাঠ বস্তি ও বেগুনটিলা বস্তিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে মাদকে সাম্রাজ্য।
ডিএমপির মিডিয়া শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পরিবাকেন্দ্রিক মাদকব্যবসা গড়ে ওঠাসহ তাদের ব্যবসার ধরন বিশ্লেষণ করেই পরিকল্পনার মাধ্যমে তা নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণের কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে। মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বাস্তবায়ন করছি। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসব। কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
জানা গেছে, পল্লবীতে যত্রতত্র মাদক স্পট গড়ে উঠলেও এই ব্যবসার অন্তত ৮০ শতাংশই চার পরিবারের নিয়ন্ত্রণে। তাদের মধ্যে কেউ হেরোইন, কেউ ইয়াবা আবার কেউ গাঁজা ব্যবসার হোতা। পল্লবীতে নব্বইয়ের দশকে প্রথম হেরোইনের ব্যবসা শুরু করেন মোস্তাক। অপর তিন পরিবারের মধ্যে রয়েছে ‘ইয়াবাসম্রাজ্ঞী’ ফাতেমা (ফতে), এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী ‘ল্যাংড়া’ রুবেল। তবে মোস্তাকের হয়ে মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতায় পরিণত হন ‘হেরোইনসম্রাজ্ঞী’ পৃথিবী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ব্যবসায় জড়িত অধিকাংশ সদস্যই নারী। পরিবারের একজন এই ব্যবসা শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে এতে জড়িয়ে পড়েন অন্য সদস্যরাও। এদের মধ্যে অনেকেই আলাদাভাবে গড়ে তোলেন মাদকসাম্রাজ্য।
হেরোইনসম্রাট মোস্তাকের সঙ্গে তার পরিবারের অন্তত দুই ডজন সদস্য মাদকব্যবসায় জড়িত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মোস্তাকের বোন আনোয়ারী, শাকিলা এবং জামিলা। বর্তমানে মোস্তাকের ব্যবসার দেখভাল করে তার ছেলে সুমন ও সায়মন। অন্যদিকে জামিলার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে তার মেয়ে সায়েমা ও শাম্মি এবং আনোয়ারীর পাশাপাশি তার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে মেয়েজামাই কামরান। বাবা বাবুল হোসেনের হাত ধরেই মাদকব্যবসায় জড়ান ইয়াবাসম্রাজ্ঞী ফতে। এই ব্যবসায় জড়িত তার পরিবারের অন্তত ৩৬ সদস্য। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফতের ভাই মামুন, ভাই খোকন, দুই ভাবি মনি ও রাবেয়া, ভাগ্নে অনিক, মা হাসিনা বেগম এবং বোন পাপিয়া। এ ছাড়া হেরোইন ব্যবসায়ী পৃথিবীর ব্যবসার সঙ্গে তাদের পরিবারের অন্তত দেড় থেকে দুই ডজন সদস্য রয়েছে।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, শুধু পল্লবী থানার অধীনেই হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক স্পট। মাদক বিক্রির সঙ্গে যুক্ত হাজারেরও বেশি বিক্রেতা। জানা যায়, বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় মাদক সরবরাহ করে শাবু ও পাগলা মামুন। আর মাদকের পাইকারি ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো পাতা সোহেল, সোলেমান, রতন ও আল ইসলাম।
Blog
-
অধরা পল্লবীর মাদক ব্যবসায়ীরা
-
সাংবাদিক আকতারের নামে বন বিভাগের মামলা-অচিরেই স্মারক লিপি প্রদান
গাজীপুরে মালিকানা দ্বন্দ্বের জের আলোকিত ঢাকা ও দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার সম্পাদক আক্তার হোসেন সাদ্দামের নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদীত মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ।
মামলার বিবরণে দেখা যায়- গত ৬/০১/২০২৪ইং তারিখে সাংবাদিক আক্তার হোসেন সাদ্দাম বারুইপাড়া মৌজাস্থ সিএস ৬২০ নং দাগে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করে সরকারী সংরক্ষিত বনভূমির আকার আকৃতি নষ্ট করত এবং গজারি গাছ কর্তন করে।
প্রকৃত বিষয় হচ্ছে – উল্লেখিত তারিখে সাংবাদিক আক্তার হোসেন সাদ্দাম ঐ স্থানে বা গাজীপুরে ছিলেন না। তার প্রকৃত পেশা গোপন করে তাকে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ পদ দিয়ে মামলাটি দায়ের করা মানহানিকর বলে দাবি করেন বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ।
আক্তার হোসেন সাদ্দাম দীর্ঘ ১ যুগেরও বেশি সময় সাংবাদিকতা করছেন। তার বিভিন্ন সময় প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেশজুড়ে আলোচিত হয়েছে।
গাজীপুর যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠেছে অনেক রিসোর্ট। বনের প্রায় বেশ কিছু জায়গা দখল করে গাজীপুরে পিঙ্গাইলে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট নামীয় একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নিবন্ধন বিহীন উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার জের ধরে সাংবাদিক আক্তার হোসেন সাদ্দামকে উক্ত মামলায় আসামী করা হয়। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে দাবি করেন সাংবাদিক সমাজ।
গাজীপুরে বন বিভাগের অনিয়মই যখন নিয়ম। মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে মামলায় সাংবাদিককে আসামী করা চরম ধৃষ্টতা বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। -
সুখবর দিল মেট্রোরেল
সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে শুক্রবার অর্ধবেলা চলাচল করত মেট্রোরেল। তবে আগামী মে মাস থেকে শুক্রবার সকাল থেকেই মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
মঙ্গলবার উত্তরায় মেট্রো রেলের ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি মেট্রো রেলের ফ্রিকোয়েন্সি মে মাসের মধ্যে সহনীয় মাত্রায় আনা যায় কি না।এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে। মে মাসকে আমরা টার্গেট করেছি। আশা করছি, মে মাসের মধ্যে গুছিয়ে ফেলতে পারব।’
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঢাকাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘মেট্রো রেলের পিলারে গ্রাফিতি একসেপটেড। গ্রাফিতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। এটি আমাদের পরিবর্তনের সহায়তা করেছে। কিন্তু মনের আনন্দে এখন অনেকে পোস্টার লাগাচ্ছে। ঢাকা শহরের দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সিটি করপোরেশন ও পুলিশকে চিঠি দিচ্ছি। আমাদের যে অ্যাকশন, সেটা আমরা নেব।’
-
পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন
পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে এখন থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক থাকছে না।মঙ্গলবার এ তথ্য জানা যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে।
এর আগে পাসপোর্ট সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গণির সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাসপোর্টের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন পাসপোর্ট ইস্যুর মূল ভিত্তি ধরা হয়। এ দুটি সঠিক থাকলে পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকার কথা নয়- উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এমন মতামত উঠে আসার পরই এ নিয়ে কাজ শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে সভায় অনেকটা এগিয়ে গেছে। পরবর্তীতে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় বেশিরভাগ প্রতিনিধি পাসপোর্টে ভেরিফিকেশন উঠানোর বিষয়ে মত দিয়েছেন।
জানা গেছে, সভায় পাসপোর্ট জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনার আলোকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে। সভায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পুলিশের বিশেষ শাখাসহ অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সচিব সাইফুল্লাহ পান্না, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব শেখ আবু তাহের, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব, মো. রুহুল আমিন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার, মোহাম্মদ নুরুল, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), এ এস এম হুমায়ুন কবীর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর যুগ্ম-পরিচালক, মো. জিয়াউল কাদের, অতিরিক্ত সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, মো. যাহিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, গোলাম রসূল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপসচিব আমিন আল পারভেজ, বিশেষ পুলিশ সুপার, (এসবি) হায়াতুন্নবী, বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন শীর্ষক প্রকল্প পরিচালক, মো. সাইদুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাফি প্রমুখ।
-
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অর্ধেক সুবিধাভোগীই ভুয়া
পিছিয়ে পড়া মানুষ বা জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হয় ভাতা, যা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নামেই পরিচিত। এ কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক আগেই। এবার সরকার থেকেও বলা হলো, সুবিধাভোগীদের অর্ধেকই ভুয়া। সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মোর্শেদ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেটালে এক সেমিনারে এ তথ্যই জানিয়েছেন।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নিয়ে সেমিনারটির আয়োজন করে বিশ্ব ব্যাংক। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শারমিন মোর্শেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব মোমতাজ আহমেদ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন, বিশ্বব্যাংকের সামাজিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অভিরুপ সরকার।
সেমিনারে উপদেষ্টা শারমিন মোর্শেদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের তথ্যমতে, দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ সুবিধাভোগী ভুয়া। প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচনে আমরা ডিজিটাল পদ্ধতি যুক্ত করছি। ইতোমধ্যেই এমআইএস সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এতে সুবিধাভোগী নির্বাচনে অনিয়ম কমবে। একইসঙ্গে একটি ড্যাসবোর্ড স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি শক্তিশালী মনিটরিং সিস্টেমের বিকল্প নেই। কর্মসূচিগুলোকে উৎপাদনশীল করতেই হবে। তাহলে সরকারি অর্থের প্রকৃত ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
সেমিনারে বক্তারা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিবর্তনের কথা বলেন। পাশাপাশি কর্মসূচিগুলোকে উৎপাদনমুখী করার তাগিত দেন। তারা বলেন, পরিবর্তন এনে কর্মসূচিগুলোকে উৎপাদনমুখী করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দিনের পর দিন শুধু আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে না। নগদ টাকার সঙ্গে ‘প্লাস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ, লাইফ স্কিল, উৎপাদন বৃদ্ধির নানা কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয় শেখানো হবে। যাতে উপকারভোগীরা নিজেরাই স্বাবলম্বী হতে পারেন।
সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুর্বলতা কমাতে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে ‘নগদ প্লাস’ পরিষেবাগুলোর সঙ্গে নগদভিত্তিক প্রোগ্রামগুলো একত্রিত করতে হবে।
-
আজ নেতাজী নয়ন বাঙ্গালীর শুভ জন্মদিন
আজ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবি, জাতীয় মানবাধিকারকর্মী, জাতীয় যুবনেতা, হাজার হাজার দক্ষ যুব সংগঠক তৈরির মহানায়ক- যে আমার মতো ক্ষুদ্র সাদ্দামকে রাস্তা থেকে তুলে এনে হাতেখড়ি দিয়েছেন আমার প্রিয় বড় ভাই, আমার অভিভাবক, আস্থা এবং ভালোবাসার শেষ ঠিকানা ড. গোলাম রাব্বানী নয়ন বাঙ্গালীর আজ শুভ জন্মদিন। জন্মদিনের এই বিশেষ দিনে- মহান আল্লাহর কাছে আমার প্রিয় ভাইয়ের সু-স্বাস্থ ও দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করছি।
নয়ন বাঙ্গালী শুধু একটি নাম নয়-এটা একটি ব্র্যান্ড। যাকে সারাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নয়ন বাঙ্গালী হিসেবে চিনেন।মিরপুরের বিহারী পল্লীতে বেড়ে উঠেন এই ক্ষুদে বাংগালি নয়ন বাঙ্গালী ৩রা ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ সালে এক মহা গুনবতী নারীর গর্ভে গুনবতী গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন এবং কৈশোর বয়স থেকেই এক সীমাহীন চ্যালেঞ্জ নিয়ে চলতে চলতে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করার অসীম সাহসী সংগঠক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেন।
শ্রেষ্ট সমাজ সংগঠক হিসেবে তিনি পান জাতীয় পদক, পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর যুব পদক , রাষ্ট্রপতি থেকে স্বর্ন পদক , কমনওয়েলথ পদক ।
নিজেকে নয়ন বাঙ্গালী সমাজকর্মী হিসেবেই বরাবরই গডতে চেয়েছেন তাই প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেও মেধায় ও শিক্ষায় ঐ বিষয় টিকেই জোড় দিয়েছেন অনেক । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্ম বিভাগে স্নাতকাত্তর-এ প্রথম শ্রেনীতে প্রথম স্হান অধিকার করে গবেষনা করতে চলে যান আমেরিকার ভার্জিনিয়ার লিবার্টি ইউনিভার্সিটিতে যেখানে সামাজিক নেতৃত্ব বিষয়ে গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন আজ প্রায় ৭ বছর যাবত। আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে তিনি পেয়েছেন সমাজকর্মের লাইসেন্স তাই তাকে আন্তর্জাতিক সমাজকর্মী হিসেবে বিশ্ববাসী চেনেন ।
নয়ন বাঙ্গালীর এখন সোস্যাল ওয়ার্ক পলিটিকস “প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা দলে থেকে কি কি কাজ করতে হয় বুঝে উঠতে পারে না – দলে শুধু জাতীয় কর্মসূচী দেয় কিন্তু ব্যক্তিগত কোনো দিক নির্দেশনা বা কর্ম সূচী নির্ধারণ করে দেয় না । একজন ডাক্তার জানতে পারে তার আজ কি কাজ , প্রকৌশলী জানে , শিক্ষক জানে কিন্তু রাজনৈতিক দলের একজন কর্মীকে তার কি কি কাজ সারাদিন সাধারণত করতে হয় জিজ্ঞেস করলে সে বলতে পারে না তাই নয়ন বাঙ্গালী এই প্রকল্প এর নাম দিয়েছে Social Work Politics . যে শহরে থাকেন সেই শহরের নাম world Cherry Capital তাই ঐ শহরের মেয়র তাকে রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং তাকে Mayoral Proclamation দিয়েছেন ।
নয়ন বাঙ্গালী জাতীয় যুব নীতি প্রনয়ন এ সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রেখেছেন । ২০০৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নিকট আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবনা সহ একটি যুব কার্যক্রম কে মূল ধারার কাজে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চালান । ১ কোটি দেশী যুবক আজ বিদেশে যারা দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির জোগানদাতা । ১ জন যদি পরিবারের ১০ জনকে চালায় তাহলে দেশের দশ কোটি মানুষ কোনো না কোনো ভাবে বিদেশের টাকা খেয়ে বেঁচে আছে কিন্তু দু:খজনক হলো বিদেশে দূতাবাস গূলো সবচেয়ে বড় বড় বদমাইশ ও পাচাটা তাবেদার কর্মচারীদের দখলে যাদের কোনো অনুভূতি আবেগ এই প্রবাসে থাকা হাড় ভাংগা মানুষদের প্রতি নেই । তাই নয়ন বাঙ্গালী প্রতিষ্ঠা করেছেন International Migrant Foundation ।
২০২৫ সালে শুরু হবে প্রতি দেশে দেশে IMF office যা আমাদের embassy গূলোকে চোখে আংগুল দিয়ে দেখাবে তোমরা কি করছো আর IMF কি করছে। বিদেশের যুবকরা তারা একটি দেশের টিভি নামে টিভি চ্যানেল দিয়ে নিজেদের মতামত শেয়ার ও জীবন চলার পথ বাতলাবে একজন আরেকজনকে ।
নয়ন বাঙ্গালী প্রতিষ্ঠা করেছে School of Leadership তার হাতেই গড়া দেশের সর্ব বৃহৎ সামাজিক যুব সংগঠন National Youth Forum . তিনিই বাংলাদেশে প্রথম প্রতি বছর চালু করেছেন Bangladesh Youth Parliaments. তাই তাকে দেশে সমাজ কর্মীরা বলে সামাজিক রাজনীতির জনক । তিনি চান বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা আদর্শ সমাজ কর্মী হয়ে গড়ে উঠুক বেডে উঠুক তাহলেই সে আদর্শ নেতা হয়ে সমাজ সেরা করতে পারবে অন্যথায় সবাই মারামারি , দলাদলি , চাঁদাবাজি , টেন্ডার বাজি , মাদক সেবন ছাড়া এই গনডি থেকে বের হতে পারবে না ।
নয়ন বাঙ্গালী সামাজিক নীতিমালা ও সামাজিক আইন নিয়ে কাজ করছেন । সমাজ কোন কোন আইনের ভিত্তিতে চলবে তার একটি বস্তুনিষ্ঠ মাস্টার প্ল্যান তৈরী করেছেন । বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর এই আইনজীবী নয়ন বাঙ্গালী বিশ্ব দরবারে বাঙ্গালীদের সামাজিক ভিত্তি নিশ্চিত করার জন্য ও অর্থনৈতিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশের বাইরেও কিভাবে বাঙ্গালীরা সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে তার জন্য ভূমিকা রাখছেন । তাই তো আমেরিকার সর্ব বৃহৎ বার আমেরিকান বার এসোসিয়েশন মানবাধিকার সংক্রান্ত কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করেন ও স্টেট বার অব ক্যলিফোরনিয়া তাকে ফরেন লিগ্যাল কনসালটেনট হিসেবে লাইসেন্স দিয়ে ঐদেশে practice করার সুযোগ দেন ।
এই মেধাবী সংগঠক ড. নয়ন বাঙ্গালীকে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার তার পেটুয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে মেরে ফেলার চক্রান্ত করে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে তিনি প্রাণে বাঁচলেও তার হাত চিরতরে ভেঙ্গে দেয়া হয়। তার শুভ জন্মদিনে অশেষ অশেষ দোয়া ও ভালোবাসা।
আমরা আশা করবো এই মেধাবী মুখ নয়ন বাঙ্গালী শীঘ্রই দেশে আসবেন- কারন এই মেধা এখন বাংলাদেশের বড়ই প্রয়োজন।লেখক
আকতার হোসেন সাদ্দাম
সংগঠক ও গবেষক
সভাপতি- পল্লবী প্রেস ক্লাব
-
যুক্তরাষ্ট্রের পথে ফখরুল-খসরু, লন্ডন থেকে যাচ্ছেন জাইমা রহমানও
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ওয়াশিংটন গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার সন্ধ্যা ৬টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।বিএনপি মহাসচিব তিন সদস্যদের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এই প্রতিনিধিদলে যোগ দেবেন।
আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টের’ এই অনুষ্ঠান হবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে।এটি একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান।এ অনুষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে সংলাপের একটি প্ল্যাটফর্ম।
গত ১১ জানুয়ারি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মার্কিন কংগ্রেস আয়োজিত ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ কমিটি চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানায়।
ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ যুক্তরাষ্ট্রের একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে আমাদের দলের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তিনি যেতে পারছেন না, তার প্রতিনিধিত্ব করবেন ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। লন্ডন থেকে তিনি ওয়াশিংটন যাবেন।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বিএনপি মহাসচিব দেশে ফিরবেন।
-
অফিসে প্রকাশ্যেই ঘুস নিচ্ছেন ভূমি সহকারী
রাজধানীর লালবাগ রাজস্ব সার্কেলের শিবপুর ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহাদাৎ হোসেন প্রকাশ্যে ঘুস নিচ্ছেন। তার ঘুস নেওয়ার বেশ কয়েকটি ভিডিও রয়েছে এই প্রতিবেদকের কাছে।
রোববার রাজধানীর লালবাগ রাজস্ব সার্কেল অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
সেবা নিতে আসা গ্রাহকের কাছ থেকে খামে করে ঘুস নেওয়ার ভিডিও যুগান্তরের হাতে এসেছে। যেখানে তাকে টেবিলে খাকি রঙের খামে টাকা নিতে দেখা যায়। মেরুন কালারের শার্ট পরা এক ব্যক্তি খামে করে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনকে ঘুস দেন। মেরুন কালারের শার্ট পরা ওই ব্যক্তি খামে করে টাকা দিলে ভূমি সহকারী মো. শাহাদাৎ হোসেন তার টেবিলেই রাখেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচজন গ্রাহক তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের একজন খামের ভেতরে টাকা ভরে তার টেবিলে রাখেন। যুগান্তরের সাংবাদিক বিষয়টি জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান এবং সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভূমি অফিসের কয়েকজন কর্মচারী জানান, শাহাদাত হোসেন দীর্ঘদিন বিভিন্ন মানুষের কাজ দ্রুত, খাজনা খারিজ নামজারি, ভূমি সংক্রান্ত কাগজপত্র দ্রুত নিষ্পত্তি করে দেওয়ার কথা বলে এবং অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করতেই নিয়মিত ঘুস বাণিজ্য পরিচালনা করেন নিজ অফিসে বসেই। তার হাত অনেক লম্বা। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না।
শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার টেবিলে একজন একটি খাম রেখেছেন- তবে খামের ভেতরে টাকা ছিল না অন্য কিছু ছিল সেই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সাংবাদিক এসে বললেন- পরে খামের ভেতরে টাকা দেখতে পাই। এ খামের ভেতরে কত টাকা ছিল সেই বিষয়টিও জানি না।
আপনার টেবিলে একজন ব্যক্তি খাম রেখে যাবে আপনি বিষয়টা জানেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খাম আমি দেখেছি তবে খামের ভেতরে কী আছে সে বিষয়টি আমি জানি না বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে বক্তব্য নিতে চাইলে লালবাগ সার্কেলের সহকারী ভূমি কমিশনারকে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
-
ক্ষুদ্র ও মাঝারী (কর্মক্ষেত্র ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান/ওয়ার্কশপ) এর নিকট থেকে আগ্রহ পত্র আহবান
মুসলিম এইড ইউকে বাংলাদেশ ফিল্ড অফিস, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইএসডিবি) সহায়তায় এবং কিং আব্দুল্লাহ হিউম্যানেটারিয়ান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে “বাংলাদেশের ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মাদপুর ও নীলফামারির সৈয়দপুরে অতি দরিদ্র বস্তিবাসীদের, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার মাধ্যমে সমন্বিত পুনর্বাসন কার্যক্রম” নামক পাঁচ (৫) বছর মেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মিরপুর থানা ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান/ওয়ার্কশপসমূহের নিকট হতে নিম্নলিখিত ট্রেডসমূহে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান/ওয়ার্কশপের প্রতিনিধিগণকে আগামী ০২/০২/২০২৫ ইং তারিখ হতে অফিস সময়ে (সকাল ৯.০০ ঘটিকা হতে ৪.০০ ঘটিকা মধ্যে) ফর্ম গ্রহণ করে আগামী ০৬/০২/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল ৪.০০ ঘটিকার মধ্যে নিম্নলিখিত ঠিকানায় ফর্মসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করার জন্য আহ্বান করা যাচ্ছে।
এ পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পন্ন হবে। চুক্তির মেয়াদকাল ৮ মাস (৪ দফায়)।
কোর্সসমূহঃ
১. ড্রেস মেকিং ও ট্রেইলরিং
২. রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনিং
৩. কম্পিউটার অপারেশন
৪. ইন্ডাস্ট্রিয়াল সুইং মেশিন অপারেশন
৫. মোটর সাইকেল সার্ভিসিং
৬. মোবাইল ফোন সার্ভিসিং
আগ্রহ পত্র দাখিলের সংযুক্তি পত্র প্রযোজ্য:
• সাক্ষরিত ফর্ম/কোটেশনের জন্য আহবান পত্র (নিম্নলিখিত ঠিকানা হতে সংগ্রহ করতে হবে)
• কোটেশন বা দরপত্র
• ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, বিন ও ব্যবসায়িক ব্যাংক একাউন্ট
• প্রতিষ্ঠান/ওয়ার্কশপের বিলবোর্ডসহ একটি ছবিমো: আরিফুল ইসলাম, ০১৮৬০-৩২৪৯০৫
মুসলিম এইড ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
ঠিকানাঃ ব্লক: ই, বাউনিয়াবাঁধ(ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন) মিরপুর ১১, ঢাকা। -
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক: ফখরুল
কুমিল্লার যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে সাদা পোশাকধারী লোকেরা ‘নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।একই সঙ্গে সরকার ও প্রশাসনে ঘাপটি মারা আওয়ামী দোসররা এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা- তার অনুসন্ধান করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক। এই নির্মমতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলকেই মনে করিয়ে দেয়।
শনিবার এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কুমিল্লা জেলাধীন সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে সাদা পোশাকধারী লোকেরা বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে তাকে হত্যা করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা দুর্ভাগ্যজনক। এই বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় দেশবাসী হতবাক হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জনমনে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ও প্রশাসনে আওয়ামী দোসরদের ঘাপটি মেরে থেকে রক্তাক্ত ঘটনা ঘটানো হচ্ছে কিনা- সেটি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘কোনো সরকারি বাহিনীই আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। অপরাধ সংঘটনকারী যতই শক্তিশালী হোক, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া আইনের শাসনের অন্যতম শর্ত। কিন্তু তাকে কখনোই বিচারবহির্ভূতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করার কোনো অধিকার সরকারি বাহিনীগুলোর নেই। আমি তৌহিদুল ইসলামকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই।’
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কুমিল্লার যুবনেতার ওপর এই নির্মমতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলকেই মনে করিয়ে দেয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার হলো- গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা থেকে জাতিকে মুক্তি দেওয়া, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয়ভীতি থেকে দেশবাসীকে নিরাপদ রাখা।কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের যদি পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে আবারো দেশে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে আসবে। মানুষ এক অজানা আশঙ্কায় দিনাতিপাত করবে। বেআইনি হত্যা করে কখনোই সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা যায় না, এতে আইনের শাসনকে চরমভাবে অবজ্ঞা করা হয় এবং দেশকে ঠেলে দেওয়া হয় আদিম অন্ধকারের দিকে।’
বিবৃতিতে তৌহিদুল ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন করেন বিএনপি মহাসচিব।